এডলফ হিটলার, পৃথিবীর সবচেয়ে নিন্দিত ও ঘৃণিত স্বৈরশাসক ও যুদ্ধবাজ মানুষ। তার কথা জানেনা এমন মানুষ খুব কমই আছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই দানবীয় খলনায়কের জীবনেও ছিল অনেক অজানা কথা যা আমরা অনেকেই জানিনা।
আজকের আর্টিকেলে আমরা হিটলারের ব্যাপারে ১০টি চমকপ্রদ ও অজানা তথ্য দিবো যা আপনাদের অনেকেকেই হয়ত অবাক করে দিবে।
১। হিটলার আর্ট স্কুলে অনেক চেষ্টা করেও ভর্তি হতে পারেননিঃ ফ্যাসিবাদের অন্যতম স্রষ্টা এবং কোটি মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী হিটলার একসময় একজন আর্টিস্ট হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুইবারের বেশী চেষ্টা করেও তিনি ভর্তি হতে পারেননি।
২। হিটলার আর্টিস্টদের পছন্দ করতেনঃ হিটলারের শিল্প ও শিল্পীদের প্রতি একটা আলাদা ভালোবাসা ছিল। হয়ত তার শৈশবের শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব হয়নি তাই তিনি জার্মানির শিল্পীদের অনেক সম্মান করতেন এবং ভালোবাসতেন।
৩। নিজের ছবি দেখে তিনি বক্তৃতা প্র্যাকটিস করতেনঃ হিটলার একজন অহংকারী এবং লোকদেখানো মনভাবসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি নিজেকে সবসময় পিকচার পারফেক্ট দেখানোর জন্য ফটোগ্রাফার সাথে রাখতেন। তার ফটোগ্রাফার হফম্যান কোন বক্তৃতা দেয়ার আগে তার ছবি তুলত এবং হিটলার সেই ছবি দেখে নিশ্চিত হতেন যে তাকে ঠিক লাগছে কিনা। তোলার পরেই সেই ছবি আবার ধ্বংস করে ফেলা হত।
৪। হিটলার একজন খোলা হাত মানুষ ছিলেনঃ হিটলার একজন বেহিসেবি খরুচে মানুষ ছিলেন। তিনি মানুষের কাছে নিজেকে শো অফ করতে প্রচুর খরচ করতেন।
৫। হিটলারকে তার গোঁফ কাটতে বাধ্য করা হয়েছিলঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার একজন যোদ্ধা ছিলেন। তখন তার ইনচার্জ তাকে আদেশ করেন তার গোঁফ কেটে ফেলার জন্য কারণ গ্যাস মাস্কের নিচে গোঁফ থাকলে গ্যাস মাস্ক সহজে পড়া যায়না। কিন্তু তাতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে সাময়িক অন্ধ হয়ে যান।
৬। হিটলার ডিজনির শিশুদের গল্প ও রুপকথা অনেক ভালোবাসতেনঃ অবাক হচ্ছেন? ইতিহাস্র সবচেয়ে ভয়ানক স্বৈরশাসক বাচ্চাদের গল্প ও রুপকথা পছন্দ করত! হ্যা হিটলার ডিজনির স্নো “হোয়াইট” এবং “কিং কং” এর বিশেষ ভক্ত ছিলেন।
৭। হিটলার অপেরা দেখতে খুবই ভালোবাসতেনঃ হিটলার ১২ বছর বয়স থেকে অপেরা দেখতে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। তার আত্মজীবনী “মাইন ক্যাম্ফ” এ তিনি তার এই অপেরা প্রীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখেন যে অপেরা দেখতে তিনি প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিতেন।
৮। হিটলারের কথা বুঝতে পারা একটা কুকুর বাহিনী ছিলঃ কেউ কেউ বলে থাকেন যে হিটলার কিছু কুকুরকে এমনভাবে ট্রেনিং দিয়েছিলেন যে তারা কথা বুঝতে পারত এমন কি হিটলারকে ডাকতেও পারত। যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য তাদেরকে ট্রেনিং দেয়া হয় কিন্তু হিটলারের তাদের প্রতি একটা গভীর মমতা জন্মায় একসময়।

৯। হিটলার খাওয়ার আগে আরেকজনকে দিয়ে সব খাবার পরীক্ষা করাতেনঃ হিটলার মৃত্যুভয়ে এত ভীত ছিলেন যে তিনি যেকোন খাবার খাওয়ার আগে সেই খাবার একজনকে দিয়ে পরীক্ষা করতেন। এই কাজের জন্য তিনি একজন কর্মচারীও রেখেছিলেন। জানা যায় একবার তাকে বিষ দিয়ে হত্যা করতে চাওয়ার জন্য তিনি তার একজন খাবার পরিক্ষাকারককে জেলেও পাঠান।
১০। তার প্রিয় অভিনেতা ২০১১ সালে মারা যায়ঃ হিটলারের প্রিয় অভিনেতা ছিল ডাচ অভিনেতা জোহানেস হিস্টারস। তিনি ২০১১ সালে মারা যান।
প্রতিটা মুদ্রারই দুইটা পিঠ থাকে ঠিক হিটলারের মত। একদিকে সে যেমন শিশুর মত খেয়ালী ছিল তেমনি আরেকদিকে সে ছিল হায়েনার মতই হিংস্র। আগামীর বাংলার ইতিহাসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আর আমাদের পেজে লাইক দিবেন।