যাঁদের চোখে পাওয়ার আছে, তাঁরাই একমাত্র জানেন যে চশমা ছাড়া জীবন কতটা কঠিন ও জটিল হতে পারে। অনেকে তো সারাক্ষণ ভারী চশমা পরে থাকার চেয়ে লেন্সের শরণ নেওয়াটাকেই সহজতর বলে মনে করেন। কিন্তু লেন্সও তো আর সারাক্ষণ পরে থাকতে পারবেন না – তাই চশমাটাই সাবধানে ব্যবহার করুন এবং মেনে চলুন কয়েকটি সহজ নিয়ম।

যা যা করবেন:
চশমা সব সময় খাপের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে ওঠার পর বা ব্যাগের মধ্যে কোথায় চশমার বাক্স রেখেছেন তা খুঁজে বের করতে অসুবিধে হয়? একটা ফ্লুুরোসেন্ট মার্কার বা টেপের টুকরো লাগিয়ে রাখুন বাক্সের উপর। অন্ধকারের মধ্যেও তা জ্বলজ্বল করবে ও আপনার চোখে পড়বে।

প্রতিদিন অন্তত একবার চশমা পরিষ্কার করতেই হবে – এছাড়া কোনও রাস্তা নেই! হালকা গরম জল ও নরম কোনও সাবান দিয়ে চশমা ধুয়ে নিন। জল ঝরে গেলে চশমা মোছার জন্য যে নরম কাপড়টি দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে লেন্স মুছে নিন। কড়া সাবান বা রুক্ষ কাপড়ে চশমার কাচ তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।

চশমা বাছাইয়ের সময় একটু বাড়তি যত্নশীল হতেই হবে। মনে রাখবেন, চশমাও কিন্তু আপনার লুকেরই অংশ, তাই ঠিক কেমন লাগছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেওয়াই ভালো। রোজ ব্যবহারের চশমা শক্তপোক্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যদি মনে হয়, স্রেফ রিডিং গ্লাস হলেই কাজ চলে যাবে, তা হলেও কিন্তু ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই নির্দিষ্ট পাওয়ারের চশমা নিন।

যাঁদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, তাঁদের বাড়তি কয়েক সেট চশমা রাখা একান্ত আবশ্যক। অফিসের ব্যাগেও অবশ্যই স্পেয়ার চশমা রাখবেন।

যা যা করবেন না:
চশমা খুলে যেখানে সেখানে ফেলে রাখবেন না – আপনার ও অন্য কারও অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে।

চশমা তুলে মাথার উপর রাখবেন না – তা যতই স্টাইলিশ দেখাক না কেন! এমনটা কয়েকবার করলেই তা আলগা হতে আরম্ভ করবে, আপনি যথাযথ ভিশন পাবেন না। তার পর চুলের তেল কাচের গায়ে জমে জমে চশমার কাচ ক্রমশ ঝাপসা হতে আরম্ভ করবে।

রোদ-নিরোধক চশমা রাখাও প্রয়োজন। হুট করে রোদ্দুরে বেরিয়ে পড়বেন না, তাতে কিন্তু দৃষ্টিশক্তির বারোটা বাজবে তাড়াতাড়ি। ভালো একখানি সানগ্লাসে পাওয়ার করিয়ে রাখুন বাড়তি নিরাপত্তার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here